শৃগালে কামড়ায় বা দংশন করে তাহলে কি কি ক্ষতি হতে পারে এবং ওহার চিকিৎসা কি
শৃগাল বা শেয়ালের কামড় বা দংশন অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। হোমিওপ্যাথি ও অন্যান্য চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী এর প্রাথমিক ঝুঁকি এবং প্রতিকার সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত লেখা হলো:
শৃগালের কামড় বা দংশনের ক্ষতি:
- সংক্রামক রোগের ঝুঁকি: শৃগাল একটি বন্য প্রাণী, তাই তার কামড় থেকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন জলাতঙ্ক (Rabies) হতে পারে। এই রোগটি মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে, যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
- জখম ও ক্ষত: কামড় বা দংশনের ফলে তীব্র ব্যথা, ক্ষত এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে।
- ফোড়া ও ইনফেকশন: কামড়ের ক্ষত সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা হলে জীবাণু সংক্রমণ ঘটতে পারে। ফোড়া, পুঁজ ও অন্যান্য জটিলতা তৈরি হতে পারে।
করণীয়:
- ক্ষত পরিষ্কার: শৃগালের কামড়ের পরপরই আক্রান্ত স্থানে অ্যান্টিসেপটিক (যেমন ডেটল বা স্যাভলন) দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
- র্যাবিস টিকা: কামড়ের পরপরই নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে জলাতঙ্কের টিকা নিতে হবে। এটি জীবন রক্ষাকারী।
- ডাক্তারের পরামর্শ: শৃগাল কামড়ের ক্ষেত্রে ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে টিটেনাসের টিকাও দেওয়া হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:
- ল্যাচেসিস (Lachesis): কামড়ের জখমে বিষক্রিয়া থাকলে, এবং ফোড়ার লক্ষণ দেখা দিলে ল্যাচেসিস কার্যকর।
- হাইড্রোফোবিনাম (Hydrophobinum): জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দিলে এটি ব্যবহৃত হয়।
- আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum Album): সংক্রমণ প্রতিরোধ ও বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium): ক্ষত দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
প্রতিকার:
- প্রতিরোধমূলক টিকা: শৃগাল কামড়ের পর র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: যেখানে শৃগালের উপস্থিতি বেশি, সেখানে সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের কাছাকাছি না যেতে হবে।
- সুরক্ষিত আবাসন: বন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বাসস্থান সুরক্ষিত রাখা জরুরি।
বইয়ের রেফারেন্স:
- “বিষ ও জলাতঙ্ক রোগ” – প্রফেসর ড. এন. এম. ঘোষ।
- “হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা” – ড. অ্যালেন।
- “প্র্যাকটিক্যাল হোমিওপ্যাথি” – ড. এস.সি. মণ্ডল।