Best Homeopathic Treatment

সবিরাম রোগ কি সবিরাম রোগের শ্রেণীবিন্যাস ও ঔষধ প্রয়োগের উপযুক্ত সময়কাল কখন

সবিরাম রোগ

সবিরাম রোগ কি সবিরাম রোগের শ্রেণীবিন্যাস ও ঔষধ প্রয়োগের উপযুক্ত সময়কাল কখন

সবিরাম রোগ: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ

সবিরাম রোগ (Chronic Diseases) বলতে বোঝানো হয় এমন রোগ যা দীর্ঘকাল ধরে শরীরে থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে সবিরাম রোগের একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যেখানে এটি কেবল বাহ্যিক উপসর্গগুলোর সমষ্টি হিসেবে দেখা হয় না, বরং শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠনগত এবং ক্রিয়াতন্ত্রের বিকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সবিরাম রোগের শ্রেণীবিন্যাস:

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে হানিম্যান সবিরাম রোগকে তিনটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করেছেন:

  1. পসোরা:
    • এটি ত্বকের এবং ত্বকের অধিকারী সমস্যার সাথে সম্পর্কিত।
    • উদাহরণ: চুলকানি, একজিমা, এবং অন্যান্য চর্ম রোগ।
  2. সাইকোসিস:
    • অতিরিক্ত কোষ বৃদ্ধির কারণে হয়।
    • উদাহরণ: ভেরুকা (ওয়ার্টস), টিউমার, পলিপ ইত্যাদি।
  3. সিফিলিস:
    • কোষের ধ্বংসপ্রবণতাকে বোঝায়।
    • উদাহরণ: আলসার, হাড়ের সমস্যা, এবং অন্যান্য প্রগতিশীল ধ্বংসাত্মক রোগ।

সবিরাম রোগের চিকিৎসা:

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় সবিরাম রোগের চিকিৎসা করার জন্য রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যগত অবস্থার মূল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর মানসিক ও শারীরিক উপসর্গের পাশাপাশি রোগের কারণও বিবেচনা করা হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো রোগের মূল কারণ (miasm) নির্ণয় করা এবং তার উপর নির্ভর করে ঔষধ প্রয়োগ করা।

ঔষধ প্রয়োগের উপযুক্ত সময়কাল:

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঔষধের সময়কাল এবং ডোজ ঠিক করা হয় রোগীর উপসর্গের প্রকৃতি, রোগের সময়কাল এবং রোগীর প্রতিক্রিয়া ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে। সাধারণত নিম্নলিখিত দিকগুলো বিবেচনা করা হয়:

  1. প্রাথমিক পর্যায়ে: ঔষধের ডোজ কম রাখা হয় এবং সময় অন্তর পর্যালোচনা করা হয়।
  2. দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে: রোগীর প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করে চিকিৎসার সময়কাল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা হয়।
  3. উন্নতির পর: রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী ঔষধের মাত্রা পরিবর্তন বা বন্ধ করা হতে পারে।

রেফারেন্স বই:

  1. “The Chronic Diseases” by Dr. Samuel Hahnemann – এই বইতে হানিম্যান প্রথমবারের মতো সবিরাম রোগের তত্ত্ব ও শ্রেণীবিন্যাস তুলে ধরেন।
  2. “Lectures on Homoeopathic Philosophy” by Dr. James Tyler Kent – এখানে সবিরাম রোগের প্রয়োগ ও চিকিৎসার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে।
  3. “The Science of Homoeopathy” by George Vithoulkas – এই বইটিতে হোমিওপ্যাথির সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সাথে সবিরাম রোগের চিকিৎসার পদ্ধতি সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।

থাম্বেল ডিটেইলস:

একটি থাম্বেল তৈরি করতে হবে যাতে হোমিওপ্যাথির প্রতীক, রোগের চক্র, এবং সুস্থতা প্রদর্শন করা হয়, যেখানে সবিরাম রোগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *