Best Homeopathic Treatment

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঔষধি গুণাবলীবিশিষ্ট খাদ্য ও পানীয় বর্জনীয় কেন

ঔষধি গুণাবলীবিশিষ্ট খাদ্য ও পানীয়

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঔষধি গুণাবলীবিশিষ্ট খাদ্য ও পানীয় বর্জনীয় কেন

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঔষধি গুণাবলীবিশিষ্ট খাদ্য ও পানীয় বর্জনীয় কেন

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে দেহের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে উত্তেজিত করে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করা হয়। এই চিকিৎসার মূলনীতি হল ক্ষুদ্র মাত্রায় একটি নির্দিষ্ট ঔষধের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ করা। তবে চিকিৎসাকালে কিছু ঔষধি গুণাবলীবিশিষ্ট খাদ্য ও পানীয় পরিহার করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো ঔষধের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।

ঔষধি গুণাবলীর খাদ্য ও পানীয় কেন বর্জনীয়?

১. প্রতিক্রিয়ার বাধা: কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য ও পানীয় যেমন মসলা, কফি, চা এবং অ্যালকোহল, হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্রভাবকে প্রতিহত করে। এইসব খাদ্য দেহের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়াকে প্রতিহত করে যা ঔষধের কাজের বিপরীতে যেতে পারে।

২. শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়ার বাধা: হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলোর প্রভাব অত্যন্ত সূক্ষ্ম, যা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। অতিরিক্ত মসলা বা ঔষধি গুণাবলীবিশিষ্ট খাবার শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া পরিবর্তন করে দেয়, যা ঔষধের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে।

৩. উপাদানের ক্রিয়া প্রভাব: নির্দিষ্ট খাদ্য ও পানীয়তে উপস্থিত উপাদানগুলো হোমিওপ্যাথিক ঔষধের উপাদানের সাথে বিরোধিতা করে। ফলে, ঔষধের কার্যকারিতা ব্যাহত হয় এবং নিরাময় প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়।

কোন কোন খাদ্য ও পানীয় বর্জনীয়?

১. কফি ও চা: কফির মধ্যে ক্যাফেইন থাকে, যা হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্রভাব কমিয়ে দেয়। ২. মসলা ও তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার: মসলা, রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি খাদ্য পেটের অম্লতা বৃদ্ধি করে যা ঔষধের প্রভাবকে ক্ষীণ করে। ৩. অ্যালকোহল: অ্যালকোহল হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কার্যকারিতাকে বিঘ্নিত করে এবং পরিণামে শরীরের প্রতিক্রিয়া ব্যাহত হয়।

রেফারেন্স বই:

  • “The Science of Homeopathy” by George Vithoulkas
  • “Organon of Medicine” by Samuel Hahnemann

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *