Best Homeopathic Treatment

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শক্তিকরন পদ্ধতি কত প্রকার ও কি কি

ঔষধ শক্তিকরন পদ্ধতি কত প্রকার

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ শক্তিকরন পদ্ধতি কত প্রকার ও কি কি

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তিকরণ পদ্ধতি সাধারণত দুটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত:

  1. ত্রিতীয় (ট্রাইচুরেশন) পদ্ধতি: এই পদ্ধতি মূলত কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ঔষধটির নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল পদার্থকে চূর্ণ করার মাধ্যমে এটি প্রস্তুত করা হয়। এই পদ্ধতিতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে ল্যাকটোজের সাথে মূল পদার্থ মিশিয়ে ৩ টি ধাপে ধীরে ধীরে চূর্ণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ১ গ্রাম মূল পদার্থের সাথে ৯৯ গ্রাম ল্যাকটোজ মিশিয়ে চূর্ণ করে শক্তি বৃদ্ধি করা হয়।
  2. আধান পদ্ধতি (সাকশন): এই পদ্ধতিটি মূলত তরল পদার্থের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। মূল পদার্থ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রিত করে বেশ কিছুবার সাক করা হয়, যা ঔষধটির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সাধারণত ১ অংশ মূল পদার্থের সাথে ৯ বা ৯৯ অংশ দ্রাবক (প্রধানত অ্যালকোহল) মিশিয়ে সাক করা হয়।

হ্যানেমানের মূল বই “Organon of Medicine” এ এই পদ্ধতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। এ ছাড়া হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুত প্রণালীর জন্য “The Science of Homoeopathy” বইটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স।

 

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তিকরণ (পটেন্টাইজেশন) পদ্ধতি হলো প্রাকৃতিক পদার্থের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির একটি প্রক্রিয়া। মূলত তিনটি প্রধান পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তিকরণ করা হয়:

১. দশমিক পদ্ধতি (Decimal Scale – X or D Scale)

বিস্তারিত: দশমিক পদ্ধতিতে ১ অংশ মূল পদার্থের সাথে ৯ অংশ দ্রাবক মিশিয়ে শক্তিকরণ করা হয়। এতে মূল পদার্থের ১ অংশের সাথে দ্রাবকের ৯ অংশ মিশ্রিত করে যথাযথভাবে ঝাঁকানো হয়, যা একবার সম্পন্ন হলে প্রথম শক্তি (1X বা 1D) হিসাবে পরিচিত হয়। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি ধাপে মূল পদার্থের ১০ ভাগের এক ভাগ থেকে ঔষধ প্রস্তুত করা হয়। দশমিক পদ্ধতি মূলত কম শক্তির ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

রেফারেন্স: দশমিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় ডা. হ্যানেমানের বই “Organon of Medicine” এবং হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান ভিত্তিক গ্রন্থ “The Science of Homoeopathy”।

২. শততমিক পদ্ধতি (Centesimal Scale – C Scale)

বিস্তারিত: শততমিক পদ্ধতিতে ১ অংশ মূল পদার্থের সাথে ৯৯ অংশ দ্রাবক মিশিয়ে শক্তিকরণ করা হয়। প্রতিটি ধাপে মূল পদার্থের শত ভাগের এক ভাগ দ্রাবকের সাথে মিশ্রিত করে এটি ঝাঁকানো হয়, যা প্রথম শক্তি (1C) হিসাবে পরিচিত। শততমিক পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে ১C, 2C, 3C ইত্যাদি শক্তি বৃদ্ধি পায়। হ্যানেমান এই পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত করেন এবং এর মাধ্যমেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ঔষধ প্রস্তুত করা হয়।

রেফারেন্স: “Organon of Medicine” বইয়ে শততমিক পদ্ধতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া “Homoeopathy in Theory and Practice” বইতেও শততমিক শক্তির ব্যবহারের উদাহরণ দেওয়া আছে।

৩. সহস্রতমিক পদ্ধতি (Millessimal Scale – LM or Q Scale)

বিস্তারিত: সহস্রতমিক পদ্ধতি বা LM পদ্ধতি হলো সর্বশেষ পর্যায়ের শক্তিকরণ পদ্ধতি, যা মূলত কঠিন রোগের ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে ১ অংশ মূল পদার্থের সাথে ৫০,০০০ অংশ দ্রাবক মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করা হয়। পরে এটি কয়েকবার সাক করা হয়। এতে শক্তি বৃদ্ধি বেশি হয় এবং রোগীর জন্য এটি ধীরে ধীরে কার্যকরী হয়। সহস্রতমিক পদ্ধতির প্রতিটি ধাপকে “LM 1”, “LM 2” ইত্যাদি হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

রেফারেন্স: সহস্রতমিক পদ্ধতি নিয়ে হ্যানেমানের গবেষণাপত্র “The Chronic Diseases: Their Peculiar Nature and Their Homoeopathic Cure” এবং “Organon of Medicine” বইয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।

উপসংহার

হোমিওপ্যাথিক শক্তিকরণ পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপ ও পদ্ধতি রোগীর স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়। এই পদ্ধতিগুলি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির মূলভিত্তি।

4o

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *