Best Homeopathic Treatment

হোমিওপ্যাথিক নিয়ম অনুযায়ী মাত্রা কী? এবং মাত্রাতত্ত্ব বলতে কি বুঝায়

মাত্রাতত্ত্ব

হোমিওপ্যাথিক নিয়ম অনুযায়ী মাত্রা কী? এবং মাত্রাতত্ত্ব বলতে কি বুঝায় বিস্তারিত

হোমিওপ্যাথিতে “মাত্রা” বলতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধের ব্যবহারকে বোঝানো হয় যা রোগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। হ্যানিম্যানের হোমিওপ্যাথির মূলনীতি অনুযায়ী (যা “Organon of Medicine” এ বর্ণিত আছে), মাত্রার ক্ষেত্রে খুব কম পরিমাণে শক্তিশালী ওষুধের ব্যবহার রোগীর উপসর্গ উপশম করতে সহায়ক। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় সাধারণত এই কমমাত্রা ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয়।

মাত্রাতত্ত্ব বা ডোজোলজি

মাত্রাতত্ত্ব (ডোজোলজি) বলতে হোমিওপ্যাথিতে নির্দিষ্ট ওষুধের শক্তি এবং তা প্রয়োগের পরিমাণ ও প্রক্রিয়া বোঝানো হয়। ডোজোলজিতে ওষুধের প্রয়োজনীয় পরিমাণ এবং প্রয়োগের সময়কাল নির্ধারণে রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এবং রোগের প্রকৃতি বিবেচনা করা হয়। হোমিওপ্যাথির ডোজোলজিতে বিভিন্ন মাত্রা বা পোটেন্সির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, যেমন 6C, 30C, 200C, 1M ইত্যাদি, যা রোগীর প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী নির্বাচন করা হয়।

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ

  1. Samuel Hahnemann – Organon of Medicine: এই বইটি হোমিওপ্যাথির মূলনীতিগুলি ব্যাখ্যা করেছে এবং এতে রোগীকে নির্দিষ্ট মাত্রা দেওয়ার নিয়মাবলি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে।
  2. Dr. Stuart Close – The Genius of Homeopathy: এই বইয়ে হোমিওপ্যাথির বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মাত্রাতত্ত্বের ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে বিশদ বিবরণ রয়েছে।
  3. J.T. Kent – Lectures on Homeopathic Philosophy: এই বইয়ে রোগী এবং লক্ষণ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগের মাত্রা নির্ধারণের কৌশল এবং তার তত্ত্ব আলোচনা করা হয়েছে।
  4. K.N. Mathur – Principles of Prescribing: এই বইতে রোগীর জন্য উপযুক্ত ওষুধের মাত্রা এবং প্রয়োগের নির্দেশিকা সম্পর্কে গভীর বিশ্লেষণ রয়েছে।

এই বইগুলো হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় মাত্রা এবং মাত্রাতত্ত্ব নির্ধারণে গাইডলাইন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *