Best Homeopathic Treatment

অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক্য একদৈশিক ব্যাধির উদাহরণ সহ সংজ্ঞা

অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক্য একদৈশিক ব্যাধি

অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক্য একদৈশিক ব্যাধির উদাহরণ সহ সংজ্ঞা

হোমিওপ্যাথিক নিয়ম অনুযায়ী একদৈশিক ব্যাধি (Homoionomic Diseases):

একদৈশিক ব্যাধি বলতে সেই ধরনের রোগ বোঝানো হয় যেখানে শরীরে একাধিক রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না বরং শুধুমাত্র একটি স্থানে বা একটি অঙ্গের উপর রোগের প্রভাব সীমাবদ্ধ থাকে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়, এই ব্যাধিকে গুরুত্বের সাথে দেখা হয়, কারণ এটি শরীরের অভ্যন্তরে রোগের প্রকৃত অবস্থান ও শক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়। হোমিওপ্যাথিতে একদৈশিক ব্যাধিকে দুটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে – অভ্যন্তরীণ (Internal) এবং বাহ্যিক (External) একদৈশিক ব্যাধি।

১. অভ্যন্তরীণ একদৈশিক ব্যাধি (Internal Homoionomic Diseases):

অভ্যন্তরীণ একদৈশিক ব্যাধির ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ শরীরের গভীরে থাকে এবং বাহ্যিকভাবে কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। এই ধরনের রোগগুলো সাধারণত শরীরের ভেতরের কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে (যেমন ফুসফুস, যকৃত, হৃৎপিণ্ড ইত্যাদি) থাকে, যেখানে বাহ্যিক উপসর্গ ছাড়াই রোগটি বিস্তার লাভ করে। এর উদাহরণ হতে পারে:

উদাহরণ:

  • ফুসফুসের ইনফেকশন (Pneumonia): ফুসফুসে যে ইনফেকশন বা প্রদাহ ঘটে, তা বাহ্যিকভাবে বোঝা যায় না। তবে অভ্যন্তরীণভাবে শরীরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। এটি হোমিওপ্যাথিতে অভ্যন্তরীণ একদৈশিক ব্যাধি হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • যকৃতের অসুস্থতা (Liver Disease): যকৃতের অভ্যন্তরে ক্ষতি হওয়া শুরু হলে শরীরে ধীরে ধীরে দুর্বলতা, ক্লান্তি, এবং জটিলতাগুলি দেখা দেয়। বাহ্যিকভাবে তেমন কোনো বিশেষ লক্ষণ না থাকায়, এটি অভ্যন্তরীণ একদৈশিক ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হয়।

২. বাহ্যিক একদৈশিক ব্যাধি (External Homoionomic Diseases):

বাহ্যিক একদৈশিক ব্যাধির ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ শরীরের বাহিরে দেখা যায়। ত্বক বা শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গে বাহ্যিক লক্ষণ প্রকাশ পায়, যা সরাসরি চোখে ধরা পড়ে। এই ধরনের রোগগুলোতে বাহ্যিক লক্ষণগুলি প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তবে এর পেছনে থাকা অভ্যন্তরীণ কারণও চিকিৎসার সময় বিবেচনায় নিতে হয়।

উদাহরণ:

  • ত্বকের ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ (Skin Rash): ত্বকের বাহিরে ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ হলে তা সহজে চিহ্নিত করা যায়। এটি বাহ্যিক একদৈশিক ব্যাধির উদাহরণ, তবে এর পেছনে কোনো অভ্যন্তরীণ কারণ থাকতে পারে, যেমন এলার্জি বা খাদ্য বিষক্রিয়া।
  • চোখের প্রদাহ (Conjunctivitis): চোখের বাহ্যিক প্রদাহ বা লালভাব বাহির থেকে সহজে দেখা যায়। এটি বাহ্যিক একদৈশিক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তবে এর সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সম্পর্কও থাকতে পারে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা এবং একদৈশিক ব্যাধি:

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার অন্যতম মূল নীতি হলো, শরীরের জীবনীশক্তি (vital force) সক্রিয় করে শরীরকে নিজে নিজে সুস্থ হতে সাহায্য করা। একদৈশিক ব্যাধি হলে, চিকিৎসক রোগীর সমস্ত লক্ষণ মূল্যায়ন করে সেই অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করেন। হোমিওপ্যাথি অনুসারে, বাহ্যিক লক্ষণগুলির চিকিৎসা করার পরিবর্তে রোগের অভ্যন্তরীণ মূল কারণের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা উচিত। এতে করে শরীর তার নিজস্ব শক্তি দিয়ে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

সংজ্ঞা:

একদৈশিক ব্যাধি (Homoionomic Diseases) হলো সেই রোগ যা শরীরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বা একটি নির্দিষ্ট অঙ্গে সীমাবদ্ধ থাকে, যা হয়তো অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক লক্ষণ দ্বারা প্রকাশিত হতে পারে। বাহ্যিক লক্ষণগুলি রোগের প্রকাশ মাত্র, এবং অভ্যন্তরীণ রোগের আসল প্রকৃতি বুঝতে পারা অত্যন্ত জরুরি। হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে রোগের বাহ্যিক লক্ষণগুলির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ কারণের উপরও গুরুত্ব দেয়া হয়, যাতে রোগের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব হয়।

Reference:

  • Hahnemann, S. (1842). Organon of Medicine. 6th edition. This classic text outlines the fundamental principles of homeopathy and provides detailed descriptions of diseases, their origins, and the methods for treating both external and internal ailments using homeopathic remedies.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *