Best Homeopathic Treatment

মহামারীরূপে প্রকাশিত সবিরাম জ্বরের চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে।

মহামারী

মহামারীরূপে প্রকাশিত সবিরাম জ্বরের চিকিৎসা কিভাবে করতে হবে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে মহামারীরূপে প্রকাশিত সবিরাম জ্বরের চিকিৎসা:

হোমিওপ্যাথি মহামারী বা মহামারীরূপে ছড়িয়ে পড়া রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর বলে দাবি করে। মহামারী আকারে প্রকাশিত সবিরাম জ্বর (Intermittent Fever) যেমন ম্যালেরিয়া, হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

মহামারীর সবিরাম জ্বরের চিকিৎসার মূলনীতি:

  1. Genus Epidemicus নির্বাচন:
    • হোমিওপ্যাথিতে মহামারীর সময় “Genus Epidemicus” ধারণাটি ব্যবহৃত হয়, যার মাধ্যমে রোগের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিশেষ একটি ওষুধ নির্ধারণ করা হয় যা একই রোগের বিভিন্ন রোগীর জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। রোগের প্রাথমিক লক্ষণ, সময়কাল, এবং অন্যান্য উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করে একটি সাধারণ ওষুধ নির্বাচন করা হয়।
  2. অল্টারনেট ডোজ (Alternate Dose):
    • রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিরোধমূলক ওষুধ দেওয়া হয় এবং রোগের দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ে গেলে সংবেদনশীল ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করা হয়।
  3. নির্দিষ্ট ওষুধ প্রয়োগ:
    • মহামারীর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ওষুধগুলো সাধারণত ব্যবহৃত হয়:
      • Arsenicum album: জ্বরের সময় তৃষ্ণা, দুর্বলতা, এবং প্রচণ্ড ক্লান্তি থাকলে।
      • Eupatorium perfoliatum: শরীরে ব্যথার সাথে সবিরাম জ্বর হলে।
      • China officinalis: জ্বরের পরে তীব্র ক্লান্তি ও দুর্বলতা থাকলে।
      • Natrum muriaticum: সবিরাম জ্বরের পরে মাথাব্যথা এবং তৃষ্ণার সঙ্গে জ্বর ফিরে এলে।
  4. রোগীর শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ:
    • মহামারীর সময় রোগীর শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কিছু রোগী মানসিক ভাবে হতাশায় ভোগে এবং কিছু রোগীর মধ্যে উদ্বেগ বা প্যানিক দেখা দেয়। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ যেমন Gelsemium বা Ignatia এর ব্যবহার মানসিক লক্ষণ নিরাময়ে সাহায্য করে।

হ্যানিম্যানের মতামত:

ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান তাঁর গ্রন্থ “Organon of Medicine”-এর 100-103 নম্বর Aphorism-এ মহামারী রোগের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে প্রতিটি মহামারী রোগের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে, এবং সেই বৈশিষ্ট্যগুলো অনুযায়ী ওষুধ নির্বাচন করা উচিত। তিনি “Genus Epidemicus” ধারণার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন যা মহামারীর সময় প্রয়োগ করা হয়।

রেফারেন্স বই:

  • “Organon of Medicine” – ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান, Aphorism 100-103।
  • “Chronic Diseases: Their Peculiar Nature and Their Homeopathic Cure” – ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।
  • “Materia Medica Pura” – ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *