Best Homeopathic Treatment

রোগের হ্রাস বৃদ্ধি এবং কিভাবে বুঝবে যে এটা হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি

রোগের হ্রাস বৃদ্ধি

রোগের হ্রাস বৃদ্ধি এবং কিভাবে বুঝবে যে এটা হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি

হোমিওপ্যাথিক নিয়ম অনুযায়ী রোগের হ্রাস-বৃদ্ধি এবং হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি চিহ্নিতকরণ

হোমিওপ্যাথিতে রোগের হ্রাস-বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোগীর চিকিৎসার প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসার সঠিকতা নির্ধারণ করা হয়। ড. স্যামুয়েল হ্যানেমানের “Organon of Medicine” অনুযায়ী, রোগের বৃদ্ধি বা হ্রাস বোঝার মাধ্যমে রোগের প্রকৃতি, ঔষধের সঠিকতা এবং চিকিৎসার অগ্রগতি নির্ণয় করা সম্ভব হয়। হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি হল এমন এক অবস্থা যেখানে প্রাথমিকভাবে রোগের লক্ষণগুলোর সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়, যা পরে সম্পূর্ণ নিরাময়ে সহায়ক হয়। এটি সাধারনত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির কারণে ঘটে, যেখানে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা উদ্দীপ্ত হয়।

হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি (Medicinal Aggravation) চিহ্নিতকরণ

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়, যদি রোগীর শারীরিক বা মানসিক লক্ষণগুলো সামান্য বেড়ে যায়, তবে সেটিকে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি হিসেবে ধরা হয়। এটি প্রায়ই একটি ভালো লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এটি ইঙ্গিত দেয় যে ঔষধ সঠিকভাবে কাজ করছে।

লক্ষণসমূহ

১. লক্ষণগুলোর অস্থায়ী বৃদ্ধি: লক্ষণগুলো সামান্য বেড়ে যায় তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ২. দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা: বৃদ্ধি হওয়ার পরে লক্ষণগুলো দ্রুত হ্রাস পায়। ৩. শারীরিক ও মানসিক উন্নতি: বৃদ্ধি হওয়ার পর রোগীর সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি লক্ষণীয় হয়।

রোগের হ্রাস-বৃদ্ধির পর্যবেক্ষণ

রোগীর প্রাথমিক অবস্থার সাথে লক্ষণগুলোর তুলনা করে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি নির্ণয় করা হয়। যদি রোগীর লক্ষণগুলো প্রথমে সামান্য বৃদ্ধি পায় এবং পরে ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়, তবে চিকিৎসা সঠিক পথে রয়েছে বলে মনে করা হয়।

রোগের বৃদ্ধি বুঝতে সাহায্যকারী রেফারেন্স

ড. স্যামুয়েল হ্যানেমান এই বিষয়ে “Organon of Medicine”-এর ২৭৬ এবং ২৭৭ নং Aphorism-এ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রোগের অস্থায়ী বৃদ্ধি শরীরের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান বোঝায়, যা শরীরকে স্থায়ী নিরাময়ের দিকে নিয়ে যায়।

উদাহরণ

যেমন, একজন রোগী যার ত্বকে একজিমা দেখা দিয়েছে, তাকে যদি হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়, তবে চিকিৎসার শুরুতে একজিমার অস্থায়ী বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। পরে এই লক্ষণগুলো ক্রমান্বয়ে কমে যায় এবং রোগী সুস্থতার দিকে অগ্রসর হয়।

বইয়ের রেফারেন্স

  • “Organon of Medicine” – Dr. Samuel Hahnemann, Aphorisms 276-277
  • “Lectures on Homoeopathic Philosophy” – Dr. J.T. Kent

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *