Best Homeopathic Treatment

ঔষধ সঞ্জাত বলতে কি বুঝায় কিভাবে যথার্থ উপযোগী দ্বিতীয় ঔষধ নির্ধারণ করা সহজসাধ্য

ঔষধ সঞ্জাত

ঔষধ সঞ্জাত বলতে কি বুঝায় কিভাবে যথার্থ উপযোগী দ্বিতীয় ঔষধ নির্ধারণ করা সহজসাধ্য

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে “ঔষধ সঞ্জাত” বলতে বোঝানো হয় সেই ঔষধগুলিকে যা মূল রোগের লক্ষণ অনুসারে রোগীর শরীরে বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রয়োগ করা হয়। একটি সঠিক প্রাথমিক ঔষধ প্রয়োগের পর রোগের লক্ষণ পরিবর্তিত হতে পারে, এবং এই নতুন লক্ষণসমূহের ভিত্তিতে পরবর্তী উপযোগী ঔষধটি নির্বাচন করতে হয়, যা মূল লক্ষণের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

ঔষধ সঞ্জাত এবং দ্বিতীয় ঔষধ নির্ধারণের কৌশল

প্রথম ঔষধ প্রয়োগের পরে রোগীর শরীর বা মনস্তাত্ত্বিক অবস্থায় যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যায়, তা বিশ্লেষণ করে দ্বিতীয় ঔষধ নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত নীচের কিছু নির্দেশিকা মেনে চললে যথার্থ দ্বিতীয় ঔষধ নির্ধারণ করা সহজ হয়:

  1. লক্ষণ পরিবর্তনের পর্যবেক্ষণ: প্রাথমিক ঔষধ সঠিক হলে রোগের লক্ষণগুলি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে কমতে থাকবে। তবে যদি নতুন লক্ষণ সৃষ্টি হয়, তাহলে সেসব লক্ষণ পর্যালোচনা করে উপযুক্ত দ্বিতীয় ঔষধ নির্বাচন করতে হবে।
  2. ঔষধের সঞ্জাত সম্পর্ক বিশ্লেষণ: ঔষধ সঞ্জাতগুলির মধ্যে সম্পর্ক এবং সেগুলির ক্রম অনুসারে প্রয়োগ পদ্ধতি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, একটি লক্ষণ কমানোর জন্য Nux Vomica প্রয়োগের পর উপযুক্ত ঔষধ হিসেবে Sulphur ব্যবহার করা যেতে পারে, যদি লক্ষণের পুনরুত্থান হয়।
  3. সময় নির্ধারণ: প্রাথমিক ঔষধের প্রভাব দেখতে সাধারণত এক সপ্তাহের সময় দেওয়া উচিত, যাতে প্রয়োজনীয় দ্বিতীয় ঔষধের প্রভাব নির্ধারণ সহজ হয়।

বইয়ের রেফারেন্স

এই বিষয়ে বিশদ জানতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের নাম উল্লেখ করা হলো:

  1. “The Science of Homeopathy” – জর্জ ভিতুলকাস
  2. “A Treatise on Homoeopathic Materia Medica” – উইলিয়াম বোয়ারিং
  3. “Homeopathy: Principles and Practice” – সুরেশ গাঙ্গাধরণ

এই বইগুলোতে ঔষধ সঞ্জাত, ঔষধের সম্পর্ক এবং সঠিকভাবে পরবর্তী ঔষধ নির্ধারণের কৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *