হোমিওপ্যাথিক নিয়ম অনুযায়ী শক্তি কি শক্তি ও মাত্রার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর
হোমিওপ্যাথিক নিয়ম অনুযায়ী শক্তি ও এর সাথে মাত্রার পার্থক্য
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে “শক্তি” বলতে ঔষধের প্রভাব বা তার কার্যকারিতা বোঝায়। মূলত, শক্তি হলো নির্দিষ্ট মাত্রার কোনো ঔষধের প্রতিক্রিয়া শক্তি। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ঔষধ প্রস্তুত করার সময় মূল পদার্থকে নির্দিষ্ট অনুপাতে দ্রবণ বা পাউডারে মিশ্রণ করা হয়, এবং সেই অনুপাতে গুণনের ফলে উৎপন্ন ফলাফলকেই শক্তি বলা হয়, যা রোগীকে দেওয়া হয়।
শক্তি ও মাত্রার মধ্যে পার্থক্য:
- শক্তি: ঔষধের ক্ষমতা বা কার্যক্ষমতা। যেমন, 30C, 200C, বা 1M।
- মাত্রা: নির্দিষ্ট সংখ্যক বার বা সময় অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করা।
বিষয় | শক্তি | মাত্রা |
---|---|---|
সংজ্ঞা | ঔষধের কার্যক্ষমতা বা প্রভাবের শক্তিমাত্রা। | রোগীর প্রয়োজন অনুসারে ঔষধ কতটুকু ব্যবহৃত হবে। |
উদাহরণ | 30C, 200C, 1M | দৈনিক ১ বার বা সপ্তাহে ১ বার। |
নির্ধারণ পদ্ধতি | হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্রস্তুতির সময় নির্দিষ্ট অনুপাতে দ্রবণ বা পাউডারে মিশ্রণ করে প্রাপ্ত। | রোগীর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নির্ধারণ করে থাকেন। |
ব্যবহার | রোগের তীব্রতা অনুযায়ী উচ্চ বা নিম্ন শক্তির ঔষধ নির্বাচন। | প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন। |
উদ্দেশ্য | রোগের গভীরে প্রবেশ করে দ্রুত আরোগ্য লাভ নিশ্চিত করা। | ঔষধের কার্যকারিতা ধরে রাখা এবং রোগীকে আরোগ্য করা। |
বইয়ের রেফারেন্স:
- Boericke, William. “Pocket Manual of Homeopathic Materia Medica.” Boericke & Tafel, 1906।
- Hahnemann, Samuel. “Organon of Medicine.” B. Jain Publishers, 6th Edition।
- Kent, James Tyler. “Lectures on Homoeopathic Philosophy.” North Atlantic Books, 197