এব্রোটেনাম এর সাধারণ পরিচয়, সমনাম, উৎস, প্রাপ্তি স্থান, প্রুভার, এব্রোটেনাম এর ক্রিয়াস্থল, এব্রোটেনামের কারণ তত্ত্ব, মূল কারণ, উত্তেজক কারণ। বিস্তারিত
এখানে হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকা অনুযায়ী “এব্রোটেনাম” সম্পর্কিত একটি বিস্তারিত আলোচনা প্রদান করছি, এবং একটি থাম্বনেলও তৈরি করব যা আপনার WordPress ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হবে।
এব্রোটেনাম: সাধারণ পরিচয়
এব্রোটেনাম হলো এক ধরনের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যা বিশেষত দীর্ঘস্থায়ী ও স্থায়ী সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এটি “Abrotanum” নামে পরিচিত এবং মূলত Asteraceae (Compositae) পরিবারের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ থেকে প্রস্তুত করা হয়। এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় সেসব ক্ষেত্রে যেখানে শরীরের এক অংশে সমস্যা দেখা দিলে পরবর্তীতে সেটি আরেক অংশে স্থানান্তরিত হয়।
সমনাম
এব্রোটেনাম এর আরও কয়েকটি পরিচিত নাম রয়েছে, যা বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত, যেমনঃ “Southernwood” বা “Lad’s Love”।
উৎস ও প্রাপ্তি স্থান
এব্রোটেনাম উদ্ভিদটি সাধারণত ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। এটি একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ এবং মুলত এই উদ্ভিদটির পাতা ও ফুল থেকে হোমিওপ্যাথিক ঔষধটি প্রস্তুত করা হয়।
প্রুভার
এব্রোটেনাম ঔষধটি প্রথম প্রুভ করেছিলেন ডাঃ হ্যানেম্যান। তিনি বিভিন্ন প্রকার রোগীর উপর এটির প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে এর ক্রিয়াকলাপ ও লক্ষণগুলো বিশ্লেষণ করেন।
ক্রিয়াস্থল
এব্রোটেনাম শরীরের বিভিন্ন অংশে কার্যকরী হয়, বিশেষ করে স্নায়ুতন্ত্র, মাংসপেশী, হাড়ের জোড়, এবং ত্বকে। এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সেই ক্ষেত্রে যেখানে শরীরের কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে ব্যথা ও প্রদাহ দেখা দেয়।
কারণ তত্ত্ব
এব্রোটেনাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রধান কারণ রয়েছে, যেমন:
- বংশগত প্রবণতা: দীর্ঘস্থায়ী ও বংশগত রোগের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: রোগীর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
- পরিবেশগত কারণ: দেহের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী।
মূল কারণ
এব্রোটেনাম মূলত সেসব রোগীদের ক্ষেত্রে কার্যকর, যারা দীর্ঘদিন ধরে ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন এবং তাদের রোগ এক অংশ থেকে আরেক অংশে স্থানান্তরিত হয়েছে।
উত্তেজক কারণ
যেসব রোগীর রোগের উপসর্গ তীব্র হয় এবং যাদের লক্ষণ স্থান পরিবর্তন করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যায় তাদের জন্য এব্রোটেনাম উত্তেজক প্রভাব ফেলে।
বইয়ের রেফারেন্স
এব্রোটেনামের উপর বিশদ জানতে এবং আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে নিম্নোক্ত গ্রন্থগুলি ব্যবহার করতে পারেন:
- “Materia Medica Pura” – Dr. Samuel Hahnemann
- “A Dictionary of Practical Materia Medica” – John Henry Clarke
- “Lectures on Materia Medica” – Dr. James Tyler Kent