এমোনিয়াম কার্বের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম
এমনিয়াম কার্ব (Ammonium Carbonicum) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ, যা বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল (পাচনতন্ত্র) সমস্যার জন্য প্রযোজ্য। নিচে এমোনিয়াম কার্বের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের দশটি লক্ষণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো এবং বইয়ের রেফারেন্সও প্রদান করা হলো:
এমোনিয়াম কার্বের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের লক্ষণাবলী
১. অম্লতা ও অস্বস্তি: পেটে অ্যাসিডিটির কারণে বারবার অস্বস্তি হয়, বিশেষ করে খাবারের পর।
২. বুক জ্বালাপোড়া: খাবার খাওয়ার পর বুকের মাঝে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়।
৩. অতিরিক্ত গ্যাস জমে ফোলাভাব: পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমে পেট ফোলাভাব অনুভূত হয়।
৪. বমি ভাব ও বমি: হালকা খাবারের পরেও বমি বমি ভাব বা প্রকৃত বমি হতে পারে।
৫. পায়খানায় পচা গন্ধ: মলের গন্ধ খুবই পচা হয় এবং এটি বেশিরভাগ সময় পেটে গ্যাসের সঙ্গে আসে।
৬. মুখে তিক্ততার অনুভূতি: অনেক সময় খাবারের স্বাদ তিক্ত লাগে এবং মুখে কটু ভাব থাকে।
৭. কোষ্ঠকাঠিন্য: পেট পরিষ্কার হয় না এবং মাঝে মাঝে মলত্যাগে কষ্ট হয়।
৮. অরুচি: খাবারের প্রতি অনীহা এবং ক্ষুধামন্দা দেখা যায়।
৯. গলায় জ্বালাপোড়া: গলায় হালকা জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়, যা খাবারের পরে বেড়ে যায়।
১০. পেটে খিঁচুনি ও ব্যথা: বিশেষ করে রাতে পেটে হঠাৎ খিঁচুনি বা ব্যথা অনুভূত হয়।
বইয়ের রেফারেন্স
১. “Materia Medica Pura” – ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ২. “The Guiding Symptoms of Our Materia Medica” – ডাঃ কনস্টান্টিন হার্নিং ৩. “A Dictionary of Practical Materia Medica” – ডাঃ জন হেনরি ক্লার্ক
উপরোক্ত বইগুলোতে এমনিয়াম কার্বের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল লক্ষণ এবং তার চিকিৎসা প্রণালী বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।