Best Homeopathic Treatment

টনসিলাইটিসের ব্যারাইটা কার্বের ব্যবহার  এবং ব্যারাইটা কার্বের পাকস্থলীর লক্ষণ

ব্যারাইটা কার্বের

টনসিলাইটিসের ব্যারাইটা কার্বের ব্যবহার  এবং ব্যারাইটা কার্বের পাকস্থলীর লক্ষণ বিস্তারিত

টনসিলাইটিসের ক্ষেত্রে ব্যারাইটা কার্বের ব্যবহার

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যারাইটা কার্বোনিকা (Baryta Carbonica) টনসিলাইটিসের জন্য একটি কার্যকর ওষুধ। এটি বিশেষত যখন টনসিলগুলো ফুলে যায় এবং সংক্রমিত হয় তখন ব্যবহৃত হয়। নীচে টনসিলাইটিসের লক্ষণসমূহের জন্য ব্যারাইটা কার্বের ব্যবহারের ১০টি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো:

  1. টনসিলের ফোলা: টনসিল ফুলে ওঠা, বিশেষত বাচ্চাদের মধ্যে।
  2. গিলতে ব্যথা: গলা ফুলে যাওয়ায় গিলতে সমস্যা এবং ব্যথা অনুভূত হয়।
  3. টনসিলের উপরে সাদা দাগ: টনসিলের উপরে সাদা বা হলুদ দাগ দেখা দেয়।
  4. গলা বন্ধ হয়ে যাওয়া অনুভূতি: টনসিল ফুলে গলা বন্ধ হয়ে আসে।
  5. অপরিষ্কার কণ্ঠস্বর: গলা ভারী এবং কণ্ঠস্বর অপরিষ্কার হয়ে আসে।
  6. টনসিলের চারপাশে জ্বালাভাব: গলার ভেতর টনসিলের চারপাশে জ্বালাভাব এবং অস্বস্তি।
  7. ঠান্ডায় তীব্র হওয়া: ঠান্ডা আবহাওয়ায় বা ঠান্ডা পানি পান করলে টনসিলাইটিস বৃদ্ধি পায়।
  8. বারবার টনসিলের সংক্রমণ: পুনরাবৃত্ত টনসিলাইটিসের ক্ষেত্রে ব্যবহার উপকারী।
  9. গলার আর্দ্রতা: গলার ভেতরে আর্দ্রতা অনুভূত হয় এবং বারবার থুতু ফেলতে ইচ্ছা হয়।
  10. টনসিলের জ্বালাযুক্ত ব্যথা: টনসিলগুলো স্পর্শ করলে বা নাড়ালে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।

পাকস্থলীর ক্ষেত্রে ব্যারাইটা কার্বের ১৫টি লক্ষণ

ব্যারাইটা কার্ব পাকস্থলীর নানা সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। নীচে এর প্রধান লক্ষণগুলো দেওয়া হলো:

  1. ক্ষুধামান্দ্য: ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং খাবারে আগ্রহের অভাব।
  2. খাবার হজমে সমস্যা: খাবার খাওয়ার পরে হজমে সমস্যা এবং বমি বমি ভাব।
  3. অম্লভাব: পাকস্থলীতে অম্লভাব এবং বুকজ্বালা অনুভূত হয়।
  4. বদহজম: খাবার খাওয়ার পর বদহজম এবং পেটে ফাঁপা ভাব।
  5. খাবারে বর্জনীয়তা: বিশেষ কিছু খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাবার খেলে অস্বস্তি।
  6. অতিরিক্ত ক্ষুধা: মাঝে মাঝে অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব হয় যা ক্ষণস্থায়ী।
  7. পাকস্থলীতে ব্যথা: পাকস্থলীতে চাপ বা ব্যথা অনুভূত হয়, যা খাদ্য গ্রহণে বাড়তে পারে।
  8. বমি বমি ভাব: হালকা খাবার খাওয়ার পরও বমি বমি ভাব অনুভূত হয়।
  9. পেট ফাঁপা: পাকস্থলীতে ফাঁপা বা গ্যাস জমে পেট ফাঁপা হয়।
  10. মৃদু ডায়রিয়া: মাঝে মাঝে হালকা ডায়রিয়া দেখা দেয়।
  11. অম্বল: পাকস্থলীতে অম্বল সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুধা কমে যায়।
  12. রুচির অভাব: বিশেষত সকালে খাওয়ার রুচি না থাকা।
  13. মুখের মধ্যে টক স্বাদ: পাকস্থলীর সমস্যার কারণে মুখে টক স্বাদ অনুভূত হয়।
  14. পাকস্থলীতে চাপ: বিশেষত খাদ্যগ্রহণের পরে পাকস্থলীতে চাপ বা ভারী অনুভূতি।
  15. খাদ্যনালীর জ্বালা: পাকস্থলীর কারণে খাদ্যনালীতে জ্বালাভাব।

বইয়ের রেফারেন্স

  • Boericke, William. Materia Medica with Repertory.
  • Hahnemann, Samuel. Organon of Medicine.
  • Clarke, J.H. A Dictionary of Practical Materia Medica.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *